বাঁশখালী টাইমস: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, বিশিষ্ট সাংবাদিক বাঁশখালীর কৃতি সন্তান সঞ্জীব চৌধুরী আর নেই।

বাসার সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আহত হলে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির এই নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় খালেদা জিয়া বলেন, সঞ্জীব চৌধুরী একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক ছিলেন। তিনি দলের দুঃসময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। দলের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। তার মৃত্যুতে দল একজন নিবেদিত নেতাকে হারাল।
সঞ্জীব চৌধুরীর মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সঞ্জীব চৌধুরীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার মরদেহ দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, এক কন্যা এবং বহু গুণগ্রাহী রেখে যান। মৃতের দেহ আগামিকাল সকাল পোস্তাগোলা শ্মশানে দাহ করা হবে বলে জানা গেছে।
তিনি বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত দৈনিক আমার দেশের সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তাঁর মৃত্যুতে আরও শোক প্রকাশ করেছেন- দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর কবির চৌধুরী, বাঁশখালীর সাবেক পৌর মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি নেতা ইব্রাহিম খলিল, মাস্টার লোকমান, গণ্ডামারার চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী, পুকুরিয়ার চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দীন, শীলকূপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন, কাথরিয়ার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ ছানুবী প্রমুখ।
উল্লেখ্য সঞ্জীব চৌধুরীর বাড়ি বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নে।