মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাঁশখালী উপজেলার বহুল আলোচিত এস আলম গ্রুপের এসএসপাওয়ার -১ লিমিটেড প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের কয়লা পরিবহন কার্যক্রমের পরিবেশগত ও সামাজিক সমীক্ষা অবহিতকরণে স্থানীয় সাধারণ জনগনের সাথে এক মতবিনিময় সভা আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারী) সকাল ১১ টায় উপজেলা সদরস্থ গ্রীন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠি হয়।
এ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে সভায় বক্তরা বলেন, এ প্রকল্প কোন ব্যক্তির নয়, এটি একটি চীন এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ প্রজেক্ট। এই প্রজেক্ট নিয়ে কোন ধরনের বিশৃংখলা সহ্য করা হবে না। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এ গন্ডামারা বড়ঘোনা এলাকা সিঙ্গাপুরে পরিণত হবে। তাই প্রশাসনের পাশাপাশি সবার একান্ত সহযোগীতা কামনা করেন।
৩৩ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে এলাকার মানুষের সবার জীবনে পরিবর্তন আসবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল হবে। বিভিন্ন প্রকার ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে, আর এই কাজগুলো করবেন আপনারা। এই প্রকল্পের কারণে এলাকার কেউ বিন্দুমাত্র ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। কারও ক্ষতি করে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হচ্ছে না, কিছু সমস্যা আছে রাস্তাঘাট নিয়ে তা আমরা দ্রুত সমাধান করবো, আগামী দুই একমাসের মধ্যে পুরো এলাকায় পরিবর্তন হয়ে যাবে, এজন্য আপনাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বাঁশখালীতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম হবে।
আমার দীর্ঘ ৩০ বছরের জীবনে দেখেছি এই এলাকার কোন উন্নয়ন হয়নি, এখনো আপনারা মাছ ধরছেন আর কৃষি কাজ করছেন, একটি স্কুল হয়নি, কলেজ হয়নি, কোন হাসপাতালও নেই, অথচ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এখানকার চেহারা পাল্টে যাবে। আপনাদের জীবনের পরিবর্তনের জন্যই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন দরকার, প্রকল্পটি আপনাদের কল্যাণের জন্যই করা হচ্ছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জহিরুল ইসলাম, প্রজেক্টের সিভিল প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার মহাপাত্র(ভারত), প্রজেক্ট ম্যানেজার রমিজ আহমেদ, প্রকৌশলী প্রিথম পাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চায়না) জিয়াংজু, প্রকৌশলী জালাল আহমদ,নৌ-বাহিনীর প্যাটি অফিসার জহিরুল ইসলাম,আলমগীর হোসেন ছাড়াও নৌবাহিনী, পুলিশ,সাংবাদিকবৃন্দ, গন্ডামারা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য, প্রজেক্টে কর্মরত কর্মচারীসহ গন্ডামারা বড়ঘোনা এলাকার সাধারণ জনগন প্রমূখ।