বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে মেধাবীদের অগ্রাধীকার দিতে হবে–সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদ
কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবীতে বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ চট্টগ্রাম’র উদ্যোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানকরা হয়েছে।
সকাল ১১ঘটিকায় বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে সারা বাংলাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবীতে সংগঠনের আহ্বায়ক মোঃ জসিম উদ্দিন আদিল এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম’র পরিচালনায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির শিক্ষক মো. আবুল হাসান, জাতীয় ছাত্র সমাজ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম, চবি শিক্ষার্থী আনসার উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. আবু তৈয়ব, চট্টগ্রাম কলেজ প্রতিনিধি আবদুর রহমান, মহসিন কলেজ প্রতিনিধি সাজাদুর রহমান, সিটি কলেজ প্রতিনিধি মো. এনামুল করিম, কমার্স কলেজে প্রতিনিধি তোফাইয়াল আহমেদ রিয়াদ, আই.আই.ইউ.সি প্রতিনিধি মো. শাকিল, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ওমান সিকদার, পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আজম উদ্দীন। আরো বক্তব্য রাখেন আবদুল আলিম. মো. হোসাইন, এম. সোহেল, মো. আবদুল মতিন চৌধুরী সহ অনেকে। বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে, মেধাবীদের অগ্রাধীকার দিতে হবে, মেধাবীরা মূল্যায়িত না হলে দেশে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। দেশ মেধাহীন জাতিতে পরিণত হবে। জাতি বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। দেশ দুর্নীতিতে ভরে যাবে। তাই সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে কোটা প্রথা সংস্কার করে মেধাবীদের মূল্যায়ন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি মাননীয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর কাছে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রেরণ করেন। ৫ দফা দাবীগুলো যথাক্রমে ১. কোটা ব্যবস্থাকে সংস্কার করে ৫৬% থেকে ১০% এ নিয়ে আসা হোক। ২. কোটার যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধায় নিয়োগ দেয়া হোক। ৩. চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকার ব্যবহার নয়। ৪. কোটায় কোন ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা নয়। ৫. চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়স সীমা চাই।
সমগ্র বাংলাদেশে আজ একযোগে কোটা প্রথা সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাজারো ছাত্র-ছাত্রী এ কোটপ্রথা সংস্কারের দাবীতে একত্মথা পোষণ করেন।