মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালী সরল ইউনিয়নের পশ্চিম কাহারঘোনা পরান সিকদার বাড়ী এলাকায় জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মহিলাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল, ১ জন বাঁশখালী হাসপাতাল ও বাকিরা ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসাধীন আছে।
জানা যায়, সোমবার রাতে সরল ইউনিয়নের পশ্চিম কাহারঘোনা পরান সিকদার বাড়িত জায়গা জমির পুর্ব শত্রুতার জের ধরে কথা কাটাকাটির ঘটনা হয়। তা সংঘর্ষে রূপ নিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে হামলা করে। এতে মহিলা সহ উভয় পক্ষের আহত হয়েছে ১০ জন। এ ঘটনায় আশংকাজনক অবস্থায় আহমদ আলীর ছেলে আবুল কাসমকে (৫৮) চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত ফাতেমা জিনাহ (৪৫)কে বাঁশখালী উপজলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আহত আবুল হাশম (৫৩), আবুল বশর (৫০), আবুল বশরের স্ত্রী সাদেকা বেগম (৪১) মা: জকরিয়া (৪৫), মা: তারেক (২০) মাঃ এমরান (২০),আব্দুর রহমান (৬২), মাঃ ওসমান (২৩), হাবিবুর রহমান(৫০) ও মাঃ আরিফ (২৬) প্রাথমিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায় শিক্ষক মাওলানা ইব্রাহিম সিকদার অন্যত্র বাসা বাড়ি নিয়ে থাকায় তাঁর ভাই আবুল কাশেম সিকদার তাঁর ভিটাবাড়ি দেখা শুনা করে। ভিটাসংলগ্ন হাবিবুর রহমান গংরা ভিটেবাড়ি জায়গা নিয়ে প্রায় সময় বিরোধ করে আসছিল। তা নিয়ে বাঁশখালী থানায় মামলাও চলমান আছে।
বাঁশখালী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ আসিফুল হক বলেন- সরল কাহারঘোনা এলাকায় সংঘর্ষ ঘটনায় আহতরা বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে। আশংকাজনক অবস্থায় ১ জনকে চমেক প্রেরণ এবং ১ জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। অন্যান্যরা প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন- সরল ইউনিয়নের কাহারঘোনা এলাকায় মারামারির ঘটনার খবর পেয়েছি। তাদের আগে থেকে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ও মামলা রয়েছে। পূর্বের ঘটনার জের ধরে এ ঘটনা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযাগ পেলেই তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।