তাফহীমুল ইসলাম: সকল পরীক্ষার্থীরা যখন বই, খাতা নিয়ে ব্যস্থ ঠিক তখনি বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা গ্রামের দুই সহোদর পরীক্ষার্থীর ঘরে চলছে শোকের মাতম। আবদুল কাদের, আবদুল হালিম নামের দুই সহোদর জীবনের এই কঠিন সময়ে জন্মদাতা বাবাকে হারিয়ে ভুলে গেছে কাল তাদের পরীক্ষা আছে। তাদেরকে তাড়া করছে না পরীক্ষার টেনশন, তাদের তাড়া করছে বাবা হারানোর বেদনা। বাবার জানাযার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ঠিক পরীক্ষার আগ মূহুর্তে সকাল আটটায়। বাবাকে দাফন করেই তাদেরকে হাজির হতে হবে জীবন গঠনের কাজে পরীক্ষার হলে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে দাখিল পরীক্ষা। ইতিমধ্যে একটি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তাতে পরীক্ষার্থীদের মনে এসএসসি পরীক্ষার হল সম্পর্কে একটা ধারণা হয়েছে। সেই ধারণার প্রেক্ষিতে ভুলকে সংশোধন করে পরীক্ষার্থীরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য। যাতে পরীক্ষার খাতায় ভালোভাবে লিখে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল লাভ করতে পারে।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস গতকালও এক বোন বাড়িতে বাবার মৃতদেহ রেখে হাজির হয়েছিল পরীক্ষার হলে, অশ্রু জলে ভিজিয়ে দিয়েছে লিখতে দেওয়া খাতা।
উল্লেখ্য, বাঁশখালী উপজেলার পালেগ্রাম হাকিমিয়া শাহ সিনিয়র মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাঈল আজ দুপুর ৩.৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। তার দুই পুত্র আবদুল কাদের ও আবদুল হালিম পালেগ্রাম হাকিমিয়া শাহ সিনিয়র মাদরাসা থেকে চলমান দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।