সৈকত বিলাস
কামরুন্নেছা
উৎসর্গ: বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত
সৈকত,
গুটি গুটি বৃষ্টিতে ভিজে আছো তুমি।
তোমার মতই ভেজা আমারও মন।
আকাশও বুঝে গেছে মনের খবর,
তাই তো আজ ঝরছে এমন।
সৈকত,
তোমার একাকীত্ব আমাকে খোঁচায়,
তাইতো এসেছি আজ তোমার তটে।
জানো কি তুমি ?
আমিও যে তটিনী,
সঙ্গ দিবো তাই,
এতে যদি মনে কিছু প্রশান্তি জোটে।
সৈকত,
কত জন আসে যায়,
শীতল হাওয়ার পরশ পায়,
তুমি কেমন আছো, তা
কখনও কেউ কি সুধায় ?
সৈকত,
এসেছি তাই, সুধায় তোমায়
একটু ভালো আছো কি ?
প্রশ্ন শুনে, তোমার ঠোটের কোণে
ছিলো এক রহস্যময়ী হাসি।
সৈকত,
কেউ না বুঝুক, আমি তো বুঝি
তোমার এই হাসির অর্থ।
পরের তরে তোমার জীবন অর্পন
উত্তরে তাই এই হাসিই যথার্থ।
সৈকত,
রোদের সাথে তোমার মিতালী
দেখলাম না আজ।
দেখা হয়নি তোমার বুকে
শত নৌকার ঝাক।
দেখলাম না গুটি গুটি পায়ে,
হেঁটে যাওয়া কাঁকড়ার দল।
শুনলাম না তোমার সুর সঙ্গীত,
ছল ছলাৎ ছল ছল।
সৈকত,
তোলা হয়নি তোমার সাথে,
আমার কোন ছবি।
তবুও তুমি রবে হৃদয় নীড়ে,
মনে গাঁথা রবে সবই।
সৈকত,
একপাশে ঝাঁউবন তোমার,
মুখরিত পরিবেশ।
তোমার মন ভুলানো সৌন্দর্য্যে
কৃতজ্ঞতা অনিঃশেষ।
সৈকত,
আসা যাওয়ার এই খেলা,
থাকবে তা চলমান।
ভরাক্রান্ত মনে,
বিদায়ের ক্ষণে
নিও আজ ভালবাসা অফুরান।