করোনা ঝুঁকি এড়াতে হার্ডলাইনে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন

করোনা ঝুঁকি এড়াতে হার্ডলাইনে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন

BanshkhaliTimes

তাফহীমুল ইসলাম(বাঁশখালী টাইমস)- দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাওয়ায় হার্ডলাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান চালু রাখার ব্যাপারেও আরোপ করা হয়েছে বাধ্যবাধকতা। প্রথমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান সবসময় চালু রাখার কথা বললেও সম্প্রতি বিকেল পাঁচটার পর চিকিৎসা ও ঔষধের দোকান ব্যতীত সব দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।

এই নির্দেশনা বাস্তবায়নেও মাঠ পর্যায়ে কঠোরভাবে কাজ করছে প্রশাসন। জানা যায়- জনসমাগম ঠেকাতে ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাঁশখালীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে। গতকাল বিকেলে বৈলছড়ী ইউনিয়নের চেচুরিয়া এলাকায় দেখা যায়, সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করছে। এতো কঠোরতার পরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। পুলিশ, সেনাবাহিনীর সাথে অনেকেই খেলছে লুকোচুরি। কেউ কেউ পুলিশ ভ্যানের হুঁইশেলের শব্দে বাড়ি থেকে রাস্তায় ছুটে আসে। এমতাবস্থায় বাইরে বের হবার যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে শাস্তি দিতেও দ্বিধা করছে না প্রশাসনের লোকজন। তাছাড়া জনসমাগম ঠেকাতে মোটর সাইকেলে পশ্চিম বাঁশখালীসহ গ্রামে গ্রামে ছুটছে পুলিশ।

অন্যদিকে, বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের পাড়া ও গ্রাম সুরক্ষার তাগিদে এলাকার তরুণসমাজ স্বেচ্ছায় লকডাউন কার্যকর করছে। রাস্তায় বাঁশ ও গাছের গুড়ি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা করে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে, বহিরাগতদের আগমন-নির্গমন যাচাই করছে। এ কাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়ারও সৃষ্টি হয়েছে। এতে জরুরী কাজে অথবা অসুস্থ কাউকে হাসপাতালে নেয়ার ক্ষেত্রে এসব প্রতিবন্ধকতা ক্ষতির কারণ হবে বলে জানান কেউ কেউ। সচেতন মানুষের মতামত- এলাকার সুরক্ষায় জনসমাগম এড়িয়ে মানুষদের অনুরোধ করাটাই হবে কার্যকর উপায়।

এ প্রসঙ্গে বাঁশখালী সমিতি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক লায়ন এম আইয়ুব বলেন-  ‘এলাকা লকডাউনের নামে লোকজড়ো হয়ে বাঁশ/গাছের গুড়ি দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া কোন কাজে আসবে না। এতে জরুরী কাজ কিংবা চিকিৎসাপ্রার্থী রোগী পরিবহনে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। মানুষকে সর্বোচ্চ মানবিক শক্তি দিয়ে অনুরোধ করা ছাড়া কোন উপায় নেই। এ মুহূর্তে দলবদ্ধ হয়ে যেকোন সামাজিক কাজ বরং বিপদ ডেকে আনবে।’

চেচুরিয়া কুলীনপাড়ার কিছু তরণ এলাকার সুরক্ষায় ৫ টি প্রবেশপথে সাবানসহ হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছে। এ উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *