এডভোকেট সুলতানুল কবির চৌধুরীর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। চার বছর আগের এই দিনে (৩০ জুন) তিনি এই জগত ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান।
তিনি ছিলেন অদম্য সাহসী এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। যিনি ন্যায়, নীতির প্রশ্নে কোন অবস্থাতেই কাউকে ছাড় দিতেন না। দলের দুঃসময়ের কাণ্ডারী ছিলেন সুলতানুল। নানা জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন কিন্তু কখনো বিচ্যুত হননি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে। সুলতানুল কবির চৌধুরী ছিলেন রাজনীতির আইডল।
বাঁশখালী উপজেলার সকল ধর্মের মানুষের সুখ দুঃখের ভাগীদার ছিলেন এই মহান নেতা।
১৯৯১ সালে তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী আসন থেকে সংসদসদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সিটি কলেজের জিএস এবং ভিপি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ আওয়ামীলীগের আজীবন সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। মহানগর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
১৯৭৫ সালের পর চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে যে কয়জন জ্যেষ্ঠ নেতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তাদের মধ্যে সুলতানুল কবির অন্যতম। আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এই নেতার ত্যাগ ভুলে যাওয়ার মতো নয়। সেই সময় লালদীঘির মাঠে জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় আগমনকালে পুলিশ ও বিডিয়ারের নির্বিচার গুলিতে নেত্রীর জীবন রক্ষায় অনেকে নিহত এবং আহত হন। সেখানে সুতানুল কবির চৌধুরী জীবন বাজি রেখে নেত্রীকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যান, যা লোকমুখে বহুল সমাদৃত।
সুলতান উল কবির চৌধুরী ছিলেন ন্যায় ও আদর্শের মূর্ত প্রতীক। তিনি এলাকার উন্নয়ন এবং সবার মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টির ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সুলতানুল কবির চৌধুরী চিরদিন অমর হয়ে থাকবে।
আজ বাঁশখালীর এই নেতার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী। তার বিদেহী আত্মার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, ফুলেল ভালবাসা এবং লাল সালাম রইল। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন।