যাদের দুঃসাহসিক সিদ্ধান্তের কারণে সারা বিশ্বে আজ আমারা আলোচিত। যাদের আত্ন ত্যাগের জন্য আজ আমরা পেয়েছি মহান আল্লার পরম দান এই মাতৃভাষা। যার জন্য বিশ্বের ১৯০টি দেশে এখন প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপিত হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের ৩০ কোটিরও বেশি লোক বাংলা ভাষায় কথা বলে। এ বিশাল অর্জন একান্ত-ই আমাদের। রক্তের লাল কাপড়ে মোড়ানো একুশ। যাদের আন্দোলন সংগ্রামের নিরন্তর লড়াইয়ে পাওয়া আমার মায়ের ভাষা বাংলা। যাদের ত্যাগের রক্তিম শিখরে লেখা আমাদের উজ্জল দিশা ৫২। জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের ভিত্তি তো সেই ভাষা আন্দোলনই। জাতির সেই শ্রেষ্ঠসন্তান, বীর সেনানী শহীদদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা ও সালাম।
সেই সময়কার বাংগালী ও আজকের বাংলাদেশি এই দুই এর মধ্যে অনেক
ব্যবধান। আজ আমারা ভুলে গেছি প্রতিবাদের ভাষা, ভুলে গেছি আমারা হার নামানা জাতি যে কিনা রক্ত দিব, জীবন দিব তবুও পরাজয় মানব না, আমারা জানি আকাশ থেকে বজ্র হয়ে ঝড়তে, আমারা জানি বাশেঁর কেল্লা করে সত্রুকে গায়েল করতে, কিন্তু আজ কেন এই অবস্থা তোর মা বল আমায় বল।
আজ কে কি রফিক নাই বলে?? আওয়াল জব্বার বরকত সালাম নাই বলেই কি আমরা আজ স্বাধীন হয়েও পরাধীনতার গ্লানি টানতেছি???
কিন্তু আমরা যে রফিক সালাম বরকতের ভাই, আমরা না তাদের রেখে যাওয়া দায়িত্ব নিজ কাদে নিয়েছি, তবে কেন আজো বাতাসে লাশের গন্ধ ভাশে, কেন আজো ধর্ষিতা বোনের করুণ চিৎকার আমাকে শুনতে হয়?? বল মা বল । তবে আমি কি ভুলে গেছি সেই কালোরাত, এই রক্তাক্ত সময়? যে রক্ত মাখা মাটিতে শুয়ে আছে হাজারো রফিক, বরকত, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর
লেন্স নায়ক মুন্সী আব্দু রউফ আমরা পারলাম না তাদের দেওয়া কথা রাখতে
পারলাম না আমার বোন ফেলানি কে বাচাতে কালের বিবর্তনে এক শকুন চলে গেলও আরেক শকুন খামছে ধরে আছে এই জাতির পতাকা।
লেখক: আরিফুল হক তায়েফ
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম