শামিম উল্লাহ আদিল : প্রতিবারের মত এবারও বাঁশখালী সড়কে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, পরিবহণ নৈরাজ্য, যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার, যাত্রী হয়রানির বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে।
পটিয়া- বাঁশখালী-আনোয়ারা বাস মালিক সমিতি কর্তৃক পরিচালিত এসব বাসে ঈদের বকশিস বা অতিরিক্ত ভাড়ার নামে চলছে যাত্রী হয়রানি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না থাকায় নৈরাজ্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব যাত্রীভোগান্তি নিরসনে যেন দেখার কেউ নেই।
উল্লেখ্য , গত বছর বাঁশখালী স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। তাৎক্ষণিক দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে নতুন ব্রীজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। গত ০৯ মে ২০১৯ নতুন ব্রীজ এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করে দশ হাজার টাকা করে দুইটা গাড়ীকে জরিমানা প্রদান করে।
এর আগে জরিমানা করায় বাঁশখালী সড়কে একযোগে ভাড়া বাড়িয়ে দেন পরিবহন মালিকরা।মালিক সমিতির বড় সিন্ডিকেটের কারণে তারা প্রতিনিয়ত যাত্রী হয়রানি করে যাচ্ছে। তাদের জিম্মি থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য বাঁশখালীবাসী বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে অন্যায়ের প্রতিবাদের ঝড় তুলছে। বাঁশখালী যাত্রী কল্যাণের একজন সদস্য বলেন-প্রতি ঈদে তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। সিটের বাইরেও যত্রতত্র যাত্রী উঠায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাঁশখালী সংসদ সদস্য, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী এবং শিল্পপতি মুজিবুর রহমান সিআইপির হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঈদ উপলক্ষে নির্ধারিত টিকেটের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যাত্রীদের জিম্মি করে সিট ক্যাপাসিটিতে উঠতে বাধ্য করা হয়। এতে দুই থেকে তিন গুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।
