
বাঁশখালী টাইমস: প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাস (Coronavirus disease (COVID-19) সংক্রামণ প্রতিরোধে গুনাগারি খাসমহল থেকে পশ্চিম দিকে চলমান অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন সড়কের উত্তর পাশে চাপাছড়ি / ইলসা অংশে প্রধান সড়ক ঘেঁষে গড়ে উঠা মুরগীর ফার্ম অপসারণের দাবি জানিয়েছে এলাকবাসী। মুরগির ফার্মের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীর পক্ষে ফার্মগুলো অপসারণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় অধিবাসী মনজুরুল হক চৌধুরী।
বাঁশখালী উলজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত খোলাচিঠিতে তিনি লিখেন- ‘পশ্চিম বাশঁখালীর প্রবেশদ্বার – গুনাগারি হাসমহল থেকে পশ্চিম দিকে চলমান অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন সড়কের উত্তর পাশ্বে চাপাছড়ি / ইলসা অংশে জিরো ডিসটেন্সে গড়ে উঠা ৪/৫ টি মুরগীর ফার্ম অপরিকল্পিত মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
চাঁপাছড়ি/ ইলসা গ্রামের প্রবেশমুখে মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালা উপেক্ষা করে পশ্চিম বাশঁখালীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার প্রধান চলাচল রাস্তায় চাপাছড়ি গুনাগারি সংযোগ স্থল, আসহাব উদ্দিন আহমেদ সড়কের জিরো ডিসটেন্সে খামার কয়টি স্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে অনেক অভিযোগ দিয়েছে গ্রামবাসী। কোন রেসপন্স মিলেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক বছর আগে ইলসা গ্রামের নুরুল হক ও আবু তৈয়ব গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্য়লার মুরগির খামার স্থাপন করেন। বর্তমানে খামারে প্রায় ৫ হাজার মুরগি রয়েছে। মুরগির বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। পথচারীরা স হাজারো অতিথি -পর্যটকরা মুখে রুমাল বেঁধে দম বন্ধ করে পথ পাড়ি দিচ্ছেন অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের ক্ষতি হয় এমন স্থানে বা প্রধান সড়কে খামার স্থাপন করা যাবে না। আইন অনুযায়ী জনবসতি এলাকা থেকে ২০০ মিটার দূরে পোল্ট্রি খামার স্থাপনের বিধান থাকলেও আইনের তোয়াক্কা করা হয়নি। ফলে বাশঁখালী সৈকতের পর্যটক, কামাল উদ্দিন গার্লস স্কুল, আব্দুল মজিদ মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্স, পশ্চিম বাশঁখালী উচ্চ বিদ্যালয়, উপকুলীয় ডিগ্রী কলেজ, বাশঁখালী ডিগ্রী কলেজের ন্যায় অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজারো শিক্ষার্থীর যাতায়াতের কেন্দ্রবিন্দুতে ওই খামারগুলি স্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য মুরগীর বিষ্টা থেকে সৃষ্ট –
“হিস্টোপ্লাজমা ক্যাপসিটিক্যাম” নামক জীবাণু দ্বারা হিস্টোপ্লাজমোসিস রোগ হয়। এই ছত্রাক মূলত ফুসফুস আক্রান্ত করে, তবে শরীরের অনান্য অংশেও এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। চোখ, চামড়া, অ্যাড্রেনালিন গ্রন্থি, স্নায়ুতন্ত্র এবং যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশের মুরগির খাঁচায় এই জীবাণু স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করে। এই ছত্রাক মুরগির বিষ্ঠা থেকে আসে। পরিবেশে রেণু তৈরির মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ করে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সাহায্যে মানব দেহে প্রবেশ করে। ইদানীং করোনাভাইরাসের সাথে এই জীবাণুর সলশ্লিষ্টতা খোঁজছেন একদল ডেনমার্কের গবেষক।
অতএব জাতীয় জনসার্থে এই জিরো ডিসটেন্সে গড়ে উঠা এই সব খামার বিলীন / অপসারন করে করোনাভাইরাস এর ন্যায় প্রণঘাতী মহামারি দমনে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হোক।
বিনীত নিবেদক
এলাকাবাসীর পক্ষে
মনজুরুল হক চৌধুরী।
মোবাইল ; ০১৭৪৩২০০৭৭৭
ই-মেইল : monzoor77 @gmail.com
Monzoorul H Chowdhury
00 88 01743200777 (Whats-app /IMO)
Chittagong.