জলকদরের আর্তনাদ
ইমরানুল ইসলাম
অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা প্রিয় বাঁশখালী।
ইকোপার্ক, চাবাগান, সমুদ্র সৈকতের হাজারো
বর্ণনা আমরা সবাই জানি।
বাঁশখালীর বুক চিরে বয়ে গেছে জলকদর ,
অবহেলায় সৌন্দর্য হারিয়েছে এখন নেই তার কদর।
ঈশ্বরবাবুর হাট হয়ে শঙ্খ নদীতে মিলিত ,
গন্ডামারা, খাটখালী হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত।
একসময় লঞ্চ, ইস্টিমার ভিড় জমাতো জলকদরে,
ব্যবসা-বানিজ্য, যাতায়াত করতো বার্মা, চট্টগ্রাম শহরে।
মোশারফ আলীর হাট, বশির উল্লাহ বাজার, সরল, গন্ডামারার উপর ছিল বাঁশের সাঁকো
আজ তো সব পরিবর্তন নতুনরা বিশ্বাস করবে নাকো।
জলকদরের সৌন্দর্য কেড়ে নিয়ে মানুষ এখন দূরে ,
জলকদর চিৎকার দিয়ে বলে বাঁশখালীবাসীরে।
আমার সৌন্দর্য কেড়ে নিয়ে আমায় করেছ পরিত্যক্ত
এ বুকে হাজারো ব্যথা শোনার কেউ নাই রে।
আমার বুকে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে ঘরবাড়ি ,
আত্মচিৎকারে আজ আমি তৃষ্ণায় করি আহাজারি।
আমার বুকে চষে বেড়ে অনেকে আজ বড় নেতা,
তারা কি কেউ বুঝেনা আমার কতো ব্যথা।
তোমরা করতে পারোনা আমার পরিচর্যা,
আমি তো সব বিলিয়ে রেখেছি সর্বদা।
আমি চাই সবসময় আমায় উপভোগ করুক বাঁশখালীবাসী,
ছনুয়া, সরল, গন্ডামারা, বাহারছড়া, খানখানাবাদে আছে যতোবাসী।
বর্তমান প্রজন্মরা আমায় ভাববে রূপকথার গল্প ,
কেউ কি নেই, ঐতিহ্য উদ্ধারে আমার ভরাট পরিধি বিস্তৃত করে?