পবিত্র ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে কোরআন সুন্নাহর আলোকে এক মাইজভান্ডারী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আশেকানে মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম শাখা কর্তৃক আয়োজিত মহাসম্মেলন সকাল থেকে শুরু হয়ে জুমা পর্যন্ত চলতে থাকে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত গাউছুল আজম শাহসুফি মাওলানা ছৈয়দ গোলামুর রহমান আল-মাইজভান্ডারী (কঃ) প্রকাশ বাবা ভান্ডারী কেবলার পৌত্র মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহজাদা আলহাজ্ব হযরত শাহসুফি মাওলানা ছৈয়দ মুজিবুল বশর আল হাসানী আল মাইজভান্ডারী কেবলা (মঃজিঃআঃ)। বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাঁর একমাত্র শাহজাদা ছৈয়দ নুরুল বশর আল মাইজভান্ডারী।
উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ তালুকদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন চৌধুরী, চবির উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও নিরাপত্তা প্রধান মোহাম্মদ বজল হক, সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম, চসিক প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, এয়াকুব গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ এয়াকুব আলী মাইজভান্ডারী প্রমুখ।
মাওলানা নিজামুল হক শেরে বাংলা আল মাইজভান্ডারীর সঞ্চালনায় ওলামায়ে কেরামগণদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মাওলানা দিদারুল আলম মাইজভান্ডারী, মাওলানা জাকির হোসাইন মাইজভান্ডারী, মাওলানা গোলাম মোস্তফা শায়েস্তাখান মাইজভান্ডারী, মাওলানা কেরামত আলী মাইজভান্ডারী।
উক্ত সম্মেলনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার আশেকানে মাইজভান্ডারী ভক্তবৃন্দ কাফেলা সহযোগে অংশগ্রহণ করেন। এতে লালদিঘী ময়দানসহ আশেপাশের বিশাল এলাকা সমবেত ভক্তে লোকারণ্য হয়ে যায়। বাদে জুমা আখেরী মুনাজাতের পরে মুর্শিদ কেবলা লাখো ভক্তদের নিয়ে জশনে জুলুছের মিছিল সহকারে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ পর্যন্ত এসে সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
দেশ, জাতি ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও সার্বিক কল্যাণ প্রার্থনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন আলহাজ্ব হযরত শাহসুফি মাওলানা ছৈয়দ মুজিবুল বশর আল হাসানী আল মাইজভান্ডারী কেবলা (মঃজিঃআঃ)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি