আজ ৫ অক্টোবর। টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজার ৩৫তম জন্মদিন। আজ যে বিশ্ব ক্রিকেটে দোর্দন্ড প্রতাপে চলছে লাল সবুজের জয়গান। তার নেপথ্যের কারিগর’ একজন মাশরাফি। পুরো দলকে যিনি গেঁথেছেন এক সুতোয়। স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বিশ্বজয়ের। তাইতো জন্মদিনে নিরন্তর শুভ কামনা থাকলো ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিকের জন্য।
আবার আজ মাশরাফির ছেলেরও জন্মদিন! কী অবাক কাণ্ড না!
তিনিই তো একজন মাশরাফি বিন মর্তুজা। কখনও নেতা কখনও বন্ধু কিংবা কখনও সুপারম্যান। টাইগার ক্রিকেটের একজন জীবন্ত কিংবন্তী। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা যিনি ‘লাল সবুজের’ সোনালী দিনের বংশীবাদক। পায়ে ব্যান্ডেজ অথচ একটা বল করবেন দেশের পানে।
বাবা গোলাম মর্তুজা আর মা হামিদা মর্তুজার কোল আলো করে নড়াইলের এক নিভৃত্য পল্লীতে ১৯৮৩ সালে মাশরাফির জন্ম। জন্ম নতুন এক বাংলাদেশের।
ক্রিকেটে তার আগমনী সংকেত ধ্রুবতার মতো। সখ্যতা ইনজুরির সঙ্গে। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ৭ বার অপারেশন। দুই অ্যাংকেল মিলিয়ে ১০বার নিজেকে সপে দিয়েছেন ডাক্তারের বেরসিক ছুরির নিচে। ডাক্তার তো বলেই দিয়েছেন শেষ জীবনটা তাকে বসে কাটাতে হতে পারে হুইল চেয়ারে।
তবে মাশরাফিকে তো আর ওসব ভয় দিয়ে মাপা যাবে না। আর সেটা করাটাও অন্যায়। দমে যান নি বরং সব শঙ্কা উড়িয়ে দিনে তোলেন হুংকার। গর্জে ওঠেন বারবারই। এ যেন সত্যিকারের এক টাইগার।
যেখানে হাত দিয়েছেন মাশরাফি ফলিয়েছেন সোনা। দেশের ইতিহাসের সেরা ক্যাপ্টেন তিনি। ৬৪টি ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব নিয়ে এনে দিয়েছেন ৩৫টি জয়। বল হাতে ২৫১টি উইকেট। টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি মিলে যে সংখ্যাটা ৩৭১।
তিনবার যে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। তিনবারই নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। দলকে নিয়ে গেছেন বিশ্বকাপের কোয়ার্টার কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে। তার হাত ধরেই পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ কিংবা ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো মহা পরাক্রমশালী দলকে নামিয়ে আনা হয়েছে মাটিতে।
শুধু একজন তারকাই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের মহাতারকা তিনি। যিনি মাঠে থাকা মানেই এ যেন এক অদম্য বাংলাদেশ।
শুভ জন্মদিন কৌশিক। আরো অনেকটা ক্ষণ দৌড়ে চলুন দেশের পানে।