আইসিটি আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা না করার আহবান আইএফজে’র

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) অধীনে সম্প্রতি দু’জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)। তারা অবিলম্বে ওই সাংবাদিকদের মুক্তি দাবি করেছে। একই সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অধীনে সাংবাদিকদের বিচার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে আইএফজে। তারা বলেছে, সাংবাদিকদের হয়রান, গ্রেপ্তার ও বিচারে এ আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এ ঘটনায় আইএফজে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আইএফজে আরও বলেছে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইন প্রয়োগ করা মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতার আদর্শ পরিপন্থি।
এতে সাংবাদিকদের মধ্যে আতঙ্কজনক বিরাজ করছে। তাই এই আইনের অধীনে সাংবাদিকদের বিচার করা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আইএফজে। নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে আইএফজে বলেছে, বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে যোগ দিয়ে তারা সম্প্রতি সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানাচ্ছে। এতে বলা হয়, দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচারের সম্পাদক গোলাম মোস্তাফা রফিককে গত ১২ই জুন তার অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ভুয়া রিপোর্ট প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তার পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পাচ্ছেন না ক্ষমতাসীন দলের এমপি আবদুল মজিদ খান। এতে ঢাকা-ভিত্তিক একটি অনলাইন নিউজ সাইটকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। এ জন্য মজিদ খানের একজন অনুসারী ২০০৬ সালের আইসিটি আইনের অধীনে মামলা করেন রফিক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রাসেল চৌধুরী ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নিহারঞ্জন সাহা নিরুর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ফেসবুকের পোস্টকে কেন্দ্র করে আইসিটি আইনের অধীনে গত ৭ই জুন গ্রেপ্তার করা হয় সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আফসান চৌধুরীকে। তিনি ফেসবুকের ওই পোস্টে একজন ধর্ষকের পিতা হিসেবে ভুল করে উল্লেখ করেছিলেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে। এ জন্য মাসুদ উদ্দিন তার বিরুদ্ধে মানহানী মামলা করেন। কিন্তু আফসান চৌধুরী বলেন, তিনি পরে বুঝতে পেরেছেন তিনি ভুল করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফেসবুক থেকে ওই পোস্টটি মুছে ফেলেছেন। ১১ই জুন তাকে আগাম জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে শর্ত দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে বিচার বিভাগীয় আদালতে তাকে হাজির হতে হবে।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *