অশান্ত বাঁশখালী: চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের রূখে দেয়ার ৩ উপায়
-এম এ করিম
প্রশাসনের চেয়ে সন্ত্রাসীরা কি বেশ ক্ষমতাধর?বউত্তরে যদি বলি- হ্যাঁ তাই। কারণ কিছু অসৎ মানুষের জন্য সমাজে সন্ত্রাসীরা অবলীলায় তাদের অনৈতিক পদচারণা চালিয়ে যায়।
তারা জানে- যত বড় অপরাধ সংগঠিত হোক কেনো
টাকা দিয়ে তার থেকে সুরক্ষা পাওয়া নিশ্চিত।
টাকা দিয়ে উপরের লেভেলের কিছু মুখোশ কেনা যায়।
তাই আমি কাকে ধিক্কার দিবো!
সন্ত্রাসীদের নাকি সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়া ঐ সব অসৎ লোকদের?
জন্মের পর থেকে দেখতেছি-
সামাজিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য হানাহানি, লুটপাট তথা মৃত্যুর করুণ মিছিল। এসব কর্মকান্ড প্রত্যক্ষভবে দেখতে-দেখতে মানুষের ভিতরে হিংসা-বিদ্বেষ জন্ম নেয়। মানুষ ভুলে যেতে শুরু করে তার নীতি-নৈতিকতার দায়বদ্ধতা। প্রতিপক্ষ সমাজ মানে পরম শত্রু। তাকে রুখতে পারাটা বিজয় হিসাবে দেখা হয়। এ প্রবণতা ছোট-বড় সবার ভিতরে জেদের সৃষ্টি করে। তারপর তুচ্ছ বিষয়ে জন্ম নেয় বিরাট-বিরাট ঘটনার।
যার বদৌলতে অকালে ঝরে পড়ে কত প্রাণ।
কত পরিবার হয় ছন্নছাড়া। তাদের সাথে কাজ করে
কিছু স্বার্থন্বেষী রাজনৈতিক মুখ, যারা ফায়দা লুটার জন্য পক্ষে-বিপক্ষে নীরবে নিভৃতে মদদ দেয়।
এ ভয়ংকর মহামারি একটা সমাজ কিংবা দেশে শান্তি
প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অন্তরায়ক হিসাবে কাজ করে।
এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন জাগে!
এ সব সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা কতটুকু কিংবা অনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য অপরাধীদের অপরাধ দামা চাপা দেয়া হচ্ছে কিনা?
যদি কোনো অদৃশ্যে অনৈতিক লেনদেন হয়,
পক্ষান্তরে সমাজ কিংবা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়।
এ নৈরাজ্য থেকে সমাজ কিংবা দেশকে বাঁচানোর উপায় কি? কিভাবে সমাজের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের রূখে দেয়া যায়?
প্রথমত, সমাজের উচ্চ পদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে
এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের সুশীল এবং ন্যায়পরায়ন ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট করে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ করার মতো পজিটিভ প্রবণতা সৃষ্টি করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, প্রতিটি এলাকার যুব সমাজকে একসাথে
অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে।
স্বজনপ্রীতির চক না কষে একজন সুনাগরিক হিসাবে
সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে মনোযোগ দিতে হবে।
বিশেষ করে এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনগুলো কাজটি সকল বাধা পেরিয়ে সাধন করতে পারে।
তৃতীয়ত, দেশের অন্যতম প্রতিবিম্ব মিডিয়া এসব সন্ত্রাসীর মুখোশ খুলে দিতে পারে তাদের লেখনির মাধ্যমে। সে সাথে প্রশাসনের ঐসব অসৎ কর্মকর্তার সমাজবিরোধী কর্মকান্ডের চিত্র জনসম্মুখে তুলে ধরে সমাজ-দেশে সত্য সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে শান্তির প্রতিষ্ঠার কাজ করতে পারে।
একটা সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের জন্য সংবাদ মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
অন্যথায় সমাজ থেকে সন্ত্রাসী নির্মল করা কঠিন হয়ে পড়বে। সমাজের শান্তি-শৃংখলা কখনো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছি না। সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে লুডু খেলার আহবান জানাবে।
আর আমজনতা আতংক বুকে নিয়ে সন্তানদের অত্যাচারীর গল্প শোনাবে।
লেখক: কবি