এম এ মাহিন
মানুষের মত সীমান্ত রেখা নেই পাখিদের আকাশে। অনায়াসে উড়ে যায় দেশ থেকে দেশে। বিচিত্র জীবন ধারায় তুষার, ঝড়-বৃষ্টি সহ হাজার প্রতিকূলতা থেকে বাঁচতে পাড়ি জমায় হাজার হাজার মাইল। আসছে শীত। শীতের পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হবে বাংলার বিল-ঝিল, হাওড়-বাওড়। বিনোদন প্রেমীদের জন্য এই অতিথি পাখি আলাদা আনন্দের খোরাক জোগায়।
পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের বিস্তৃত তটরেখার ঠিক বিপরীতে , পূর্বে বিশাল পাহাড়ী অরণ্য নিয়ে গঠিত “বাঁশখালি ( Banshkhali ) ইকোপার্কেই” দেখা যায় অতিথি পাখির বিশাল সমাহার।। এই পার্কে উঁচুনিচু পাহাড়ের মাঝখানে স্বচ্ছ পানির লেক ও ঘন বনাঞ্চল, সাথে অতিথি পাখির গুঞ্জন যেন প্রকৃতি প্রেমীদের দেয় নৈসর্গিক সৌন্দর্যের হাতছানি।
৭ হাজার ৭৬৪ হেক্টর বনভূমি নিয়ে গঠিত “চুনতি অভয়ারণ্য” এর সাথে বামের ও ডানের ছড়া অন্তর্ভুক্ত করে, ২০০৩ সালে বিনোদন প্রেমীদের জন্য এই ইকোপার্কটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
জীব বৈচিত্রের এই অঙ্গনে দেখতে পাবেন ৩১০ প্রজাতির উদ্ভিদ। যার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘ, মাঝারি বৃক্ষসহ বেত, অর্কিড, ইপিফাইট ও ঘাস।
দেশের সর্ববৃহৎ ঝুলন্ত ব্রিজটিও এইখানেই। বানর, হরিণের ছুটাছুটির সাথে এইখানে দেখতে পাবেন বিভিন্ন জাতের সরীসৃপ। চিতাবাঘ, হাতি, রামকুকুর, বন মোরগ ও অতিথি পাখির মধ্যে মার্গেঞ্জার নাকাটা, চখাচখি, খুন্তে, লাঞ্জা, মান্ডারিন ইত্যাদি উল্ল্যেখযোগ্য।
উঁচুনিচু পাহাড়ের মাঝে সৃষ্ট কৃত্রিম হ্রদ প্রকৃতি প্রেমীদের চোখ জুড়িয়ে দেয়। বিনোদন প্রেমীদের জন্য এখানে রয়েছে একটি পিকনিক স্পট, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, দ্বিতল রেস্ট হাউস, রিফ্রেশমেন্ট কর্ণার, কটেজ।
পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন সবুজের ছায়াঢাকা এই ইকোপার্কের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য।